চরমপন্থি মুসলিমদের থেকে বিপদ নিয়ে ফ্রান্সে খোলা চিঠিতে সই করেছিলেন ১৮ জন সেনা অফিসার। তারা শাস্তির মুখে।
খোলা চিঠিতে বলা হয়েছিল, ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে ফ্রান্স গৃহযুদ্ধের দিকে এগোবে। সেখানে ১৮ জন বর্তমান ও প্রচুর সাবেক সেনা অফিসার ও জওয়ান সই করেছিলেন। মিলিটারি কাউন্সিল এখন ওই ১৮ জন সেনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। একটি দক্ষিণপন্থি পত্রিকায় এই খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ২০ জন সাবেক উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারও সই করেছেন।
সেই চিঠিতে এমন ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে, সরকার যদি শহরতলির অভিবাসী এলাকায় বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে সেনাই তা নেবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ফ্রান্স বিপদের মুখে। সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ”যারা আমাদের দেশ চালাচ্ছেন, তাদের সাহস থাকা দরকার এবং তাদের এই বিপদ থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। রাষ্ট্র কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করুক। পরিস্থিতি ঠিক করুক। না হলে এই ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলা গৃহযুদ্ধে গিয়ে শেষ হবে।”
স্থানীয় সংবাদপত্রে জেনারেল লাকঁতে জানিয়েছেন, ”আমরা প্রত্যেকে মিলিটারি কাউন্সিলের সামনে হাজির হব। তারা আমাকে অবিলম্বে অবসর নিতে বলতে পারে বা আমাকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।”
এদিকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেনা কর্মীরা এভাবে রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে দেশের নীতি ভঙ্গ করেছেন। সেনা নিরপেক্ষ থাকবে। তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।
খোলা চিঠিতে সই করেছেন অনেকে
শুধু এই সেনা কর্মীরা নন, খোলা চিঠিতে কয়েক হাজার মানুষ সই করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে অতি-দক্ষিণপন্থি এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছিলেন। সাবেক জেনারেল মার্টিনেজ একটি দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠী তৈরি করেছেন। তিনিও এখানে সই করেছেন।
যে পত্রিকায় এটা প্রকাশিত হয়েছে, তারা জানিয়েছে, বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে একশর বেশি সেনা অফিসার ও এক হাজারের বেশি সেনা এই চিঠিতে সই করেছেন।
লাকঁতে অবশ্য দাবি করেছেন, ফ্রান্সের সেনায় দক্ষিণপন্থিদের প্রাধান্য নেই।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।